করোনাভাইরাস মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আরও ৮৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
এ নিয়ে লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৪১ হাজার ৯০১ জনে।
আর্ন্তজাতিক জিরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড-ও-মিটারসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৩১ জন। আর গতকাল পর্যন্ত ৪১ হাজার ৪৮১ জন মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যুক্তরাজ্য। আক্রান্তের পর এবার মৃত্যু সংখ্যায়ও দ্বিতীয় অবস্থানে এল ব্রাজিল।
এমনটি চলতে থাকলে ব্রাজিল মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকরা।
তারা জানায়, এখনই লাগাম টেনে না ধরতে পারলে এবং করোনা রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না করতে পারলে আগামী আগস্ট মাসের আগেই ব্রাজিলে আরও এক লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন।
ওয়ার্ল্ড-ও-মিটারসে দেওয়া তথ্য বলছে, এ পর্যন্ত ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ জন। মারা গেছে ৪১ হাজার ৯০১ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৬১০ জন। হাসপাতালে ও হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৩৯১ জন। এদের মধ্যে ৮ হাজার ৩১৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। মাত্র ৩ মাসের বেশি কিছু সময়েই আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এলো দেশটি।
দেশটির করোনার এই দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য এর প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর ভুল সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন অনেকে। প্রথম থেকে লকডাউনের বিরোধিতা করে আসেছন তিনি। এই করোনাকালে দুইজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরখাস্ত করেছেন। প্রাণঘাতী এই রোগকে ‘সাধারণ ফ্লু’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। ⛘