সন্ধান২৪.কমঃ ১০ ডিসেম্বর হয়ে গেল শহীদ বুদ্ধিজীবি সিরাজুউদ্দীন হোসেনের অকুতোভয় সাংবাদিকতা নিয়ে আলোচনা এবং তার লেখা ‘জাহান্নামের আগুনে বসিয়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।
জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাপ্তাহিক প্রবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ।
প্রকাশিত ‘জাহান্নামের আগুনে বসিয়া’ বইয়ের আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন সাপ্তাহিক আজকাল প্রধান সম্পাদক বিশিষ্ঠ সাংবাদিক মনজুর আহমদ, সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ প্রমূখ। এ ছাড়াও আলোচনায় ছিলেন শহীদের সন্তান শামীম রেজা নূও,জাহিদ রেজা নূর, সেলিম রেজা নূর, ফাহিম রেজা নূর, সাহিদ রেজা নূর, তৌহিদ রেজা নূর। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন শামিম আল আমিন ।


বরেণ্য সাংবাদিক শহীদ সিরাজউদ্দীন হোসেনের স্মরণে প্রজ্জ্বলন করা মোমের প্রদীপ। প্রয়াত সাংবাদিক আবুল হাসনাত ভাইয়ের কন্যা দিঠি হাসনাতের কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
সিরাজউদ্দীনের সন্তান নতৌহিদ রেজা নূর পাঠ করেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া প্রথম পূত্র আগরতলা থেকে কিছু টাকা চেয়ে পাঠালে তাকে লেখা পিতার পত্রখানি।
বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে ইত্তেফাক শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের কলমের নির্ভিকতা ও দূর্বার গতীর কথা। বক্তরা বলেন,বাংলাদেশ স্বাধীনতায় শহীদ সিরাজউদ্দীন হোসেনের কলম ছিলেন সেই হাতিয়ার যা আজ স্বাধীন দেশের ইতিহাস। আর সে কারনে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশার প্রথম শিকার হন সিরাজুদ্দীন হোসেন।
‘জাহান্নামের আগুনে বসিয়া’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
‘জাহান্নামের আগুনে বসিয়া’ বইটির সম্পাদনা পরিষদে আছেন তার তিন সন্তান সেলিম রেজা নুর,জাহিদ রেজা নুর ও তৌহিদ রেজা নুর।
১৯৭১ এর ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পূর্ব মুহূর্তে ঢাকার চামেলিবাগের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দীন হোসেনকে।