Wednesday, July 2, 2025
  • Login
No Result
View All Result
Advertisement
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • নিউ ইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ভারত-পাকিস্থান
  • প্রবন্ধ-নিবন্ধ-মতামত
  • আরো
    • অর্থনীতি
    • জীবনশৈলী
    • মুক্তিযুদ্ধ
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • উপ-সম্পাদকীয়
সন্ধান
No Result
View All Result
Home মুক্তিযুদ্ধ

লড়াকু বাঙালির বিজয়গাথা ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১

December 5, 2020
in মুক্তিযুদ্ধ
Reading Time: 1 min read
0
0
0
SHARES
72
VIEWS
Share on Facebook

।।  সাদেকুর রহমান ।।

একাত্তরের ৫ ডিসেম্বর সীমান্ত এলাকাসহ পুরো বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রচণ্ড লড়াই। মিত্রবাহিনীর যুদ্ধের তৃতীয় দিন। শক্তিশালী ভারতীয় বাহিনী ও দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকহানাদার বাহিনী। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে আর কখনও পড়েনি তারা। দিনটি তাদের জন্য আসন্ন চরম বিপর্যয়ের বার্তাই বয়ে এনেছিল। ঢাকার আকাশ পুরোপুরি মিত্রবাহিনীর দখলে। পাকবাহিনীর সব জঙ্গি বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দখলমুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকার দিকে আসতে থাকেন। সম্মুখসমরের পাশাপাশি কূটনৈতিক যুদ্ধেও হারতে থাকে পাকিস্তান।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত তথ্যভাণ্ডার থেকে প্রাপ্ত বর্ণনা মতে, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিমানবাহিনী এদিন চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। ফলে এদিনের পর ঢাকার আকাশে আর কোন জঙ্গি বিমান ওড়েনি। এর একদিন পরই ভারত সরকার বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে মুক্তিবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজয়ের খবর আসছে।

একাত্তরের এই দিনেও বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন উত্তপ্ত ছিল। পাকিস্তানের কূটনৈতিক কূটকৌশলে মুক্তিযুদ্ধ থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মূল লড়াইটা ছিল তৎকালীন দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মাঝে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল বাংলাদেশের পক্ষে আর যুক্তরাষ্ট্র ছিল পাকিস্তানের পক্ষে।

আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব শিবির দুইভাগে ভাগ হয়ে সংঘাতে জড়িয়ে যেতে পারে। আগের দিন (৪ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের নগ্নভাবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করার প্রেক্ষাপটে এই দিন সোভিয়েত ইউনিয়ন নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রস্তাবটি ছিল, ‘পূর্ব পাকিস্তানে এমন এক রাজনৈতিক নিষ্পত্তি প্রয়োজন যার ফলে বর্তমান সংঘাতের অবসান ঘটবে।’ এই প্রস্তাবে পোল্যান্ড সমর্থন জানায়। কিন্তু চীন ভেটো প্রদান করে এবং নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্যের মধ্যে অপর দুই পরাক্রমশালী রাষ্ট্র ব্রিটেন ও ফ্রান্স ভোটদানে নিজেদের বিরত রাখে। এতে করে পাকিস্তানের প্রত্যাশার শেষ আলোটুকুও ফিকে হয়ে যায়।

এদিন জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি বলেন, কোন শর্ত ছাড়াই পাকিস্তান থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। চীনের প্রধানমন্ত্রী চউ এন লাই ভারতীয় হামলার মুখে পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়ার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে এই উত্তপ্ত অবস্থাতে যাতে মুক্তিযোদ্ধারা মনোবল হারিয়ে না ফেলেন সে জন্য মুক্তিবাহিনীর সেনাপতি জেনারেল ওসমানী জাতির উদ্দেশে বেতারে ভাষণ দেন।

মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ডার চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে সব বিদেশি জাহাজগুলোকে বন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিদেশি জাহাজগুলো এই সময় নিরাপত্তা চাইলে যৌথ কমান্ডার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পৃথিবীর সব দেশ তখন বুঝতে পারে যে শীঘ্রই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটতে যাচ্ছে। এই দিন লেফটন্যান্ট আরেফিনের নেতৃত্বে চালনা নৌবন্দরে এক তীব্র আক্রমণ সংঘটিত হয়। মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণের ফলে পাকবাহিনীর সব সৈন্য বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

জামালপুর ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, ঝিনাইদহ, সান্তাহার, ময়মনসিংহ ইয়ার্ড মিত্রবাহিনীর আক্রমণে ধ্বংস হয়ে যায়। ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করে নেয় মিত্রবাহিনী। বাংলার উন্মুক্ত আকাশে মিত্র বাহিনীর বিমান অবাধে বিচরণ করে। জামালপুরে বিমান হামলায় কয়েকশ’ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের চারদিক থেকে বিজয় দেখে এগিয়ে যায়। মিত্রবাহিনীর বিজয় দেখে জেনারেল নিয়াজী পাকবাহিনীকে পেছনের দিকে সরে আসার নির্দেশ দেন। ভারতের অকৃত্রিম সাহায্য-সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সফলতা বাংলাদেশকে দ্রুত মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর হিসাবে, এদিন বারো ঘণ্টায় ২৩২ বারে ঢাকার তেজগাঁও এবং কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটিতে পঞ্চাশ টনের মতো বোমা ফেলা হয়েছে। এতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। পাকবাহিনীর কনভয়ের ওপর ভারতীয় জঙ্গি বিমানগুলো আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর নব্বইটা গাড়ি ধ্বংস হয়। এছাড়া পাকবাহিনীর সৈন্য বোঝাই কয়েকটা লঞ্চ এবং স্টিমার ধ্বংস হয়।

সাবমেরিন গাজী পাক নৌবহরের গর্বের বস্তু। বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ডের সফল আক্রমণে তা ধ্বংস হয়। সাবমেরিনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে পাকিস্তান ধার হিসেবে পেয়েছিল।

নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ড চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সব নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে বন্দর ত্যাগের পরামর্শ দেয়। তারা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতেও তাদের অপারগতা প্রকাশ করে। বিশ্বের সব দেশ বুঝতে পারে বাংলাদেশের বন্দরগুলো রক্ষা করার ক্ষমতা আর পাকবাহিনীর নেই।

মিত্রবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট স্থলপথে এগিয়ে আসতে থাকে। প্রধান সড়ক দিয়ে না এগিয়েও মিত্রবাহিনী বিভিন্ন সেক্টরের প্রধান প্রধান সড়কের কতগুলো এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে ঢাকার সঙ্গে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও নাটোরের সঙ্গে ঢাকা ও রংপুরের এবং যশোরের সঙ্গে নাটোর ও রাজশাহীর যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

হানাদার বাহিনী যশোরের চৌগাছার সলুয়া বাজারে তৈরি করে অগ্রবর্তী ঘাঁটি। এ সময় যশোর সেনানিবাসের তিন দিকেই মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। প্রতিরোধ যুদ্ধের শেষ অভিযান চলে ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর। এ তিন দিন যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। সীমান্ত এলাকা থেকে মিত্রবাহিনী যশোর সেনানিবাসসহ পাক আর্মিদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ও গোলা নিক্ষেপ করে। ৫ ডিসেম্বর থেকে পর্যুদস্ত পাকবাহিনী পালাতে শুরু করে। এদিন সকাল ও দুপুরে পাকিস্তানের নবম ডিভিশনের সঙ্গে ভারতীয় নবম পদাতিক ও চতুর্থ মাউন্টেন ডিভিশনের প্রচণ্ড লড়াই হয়।

এদিকে, ভারতের ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশন আখাউড়ার যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী আখাউড়ার দক্ষিণ এবং পশ্চিমাংশ দিয়ে অবরোধ করে। এখানে পাকবাহিনী মিত্র বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে অবশেষে আত্মসমার্পণ করে। ফলে বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সম্পূর্ণরূপে শত্রুমুক্ত হয়। এই যুদ্ধে সুবেদার আশরাফ আলী খান, সিপাহী আমির হোসেন, লেফট্যানেন্ট বদিউজ্জামান, সিপাহী রুহুল আমীন, সিপাহী সাহাব উদ্দীন, সিপাহী মুস্তাফিজুর রহমান শহীদ হন। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার পর কিছু পাকসৈন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং ১৬০ জন মিত্রবাহিনীর হাতে নিহত হয়।

এছাড়া এদিন কুড়িগ্রাম, বিলোনিয়া, কুমিল্লার দেবিদ্বার, শেরপুরের ঝিনাইগাতী, যশোরের ঝিকরগাছা, মুন্সীনগর ছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন এলাকা পাকবাহিনীর কবলমুক্ত হয়। যতই শত্রু হটানোর খবর চাউর হচ্ছে ততই স্বাধীনতাকামী মানুষসহ মুক্তিবাহিনী উজ্জীবিত হচ্ছে। পক্ষান্তরে হানাদারবাহিনী লেজ গুটানোর সময়ও সন্নিকটবর্তী হচ্ছে।

তদানীন্তন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী তার ‘বাংলাদেশের জন্ম’ শীর্ষক গ্রন্থে (১২৩-১২৪ পৃষ্ঠা) লিখেছেন, ‘সকালে কুমিল্লায় ব্যাটালিয়ন আত্মসমর্পণ করার দুঃসংবাদ জানানো হয়। এভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ক্রমান্বয়ে ত্বরান্বিত হতে থাকে।’

অন্যদিকে, রাও ফরমান আলী ভারতীয় হামলা প্রতিরোধে প্রতিরক্ষা তহবিলে মুক্ত হস্তে সবাইকে দান করার আহ্বান জানান। পাকিস্তান সেনাপ্রধান অন্য এক ঘোষণায় অবসরপ্রাপ্ত ৫৫ বছরের কম বয়সী মেজর পর্যন্ত সব সৈনিককে নিকটস্থ রিক্রুটিং অফিসে হাজির হওয়ার জন্য আবার নির্দেশ দেন। বাঙালির মুক্তির লড়াইকে আড়াল করতে ‘পাক-ভারত যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে বলে বেতারে ফের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।

 

Related Posts

মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশনগুলো পশ্চীম পাকিস্থানকে সমর্থন করেছিল : কাবেরী গায়েন

July 30, 2023
144
মুক্তিযুদ্ধ

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ৬ নভেম্বর

November 4, 2022
15
No Result
View All Result

Recent Posts

  • নিউইয়র্কে শিল্পকলা একাডেমি ইউএসএ’র যুগপূর্তি অনুষ্ঠান
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ
  • গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি
  • নিউইয়র্কে জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী এবং শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির দাবি
  • যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দিনব্যাপী ‘গ্লোবাল ভিলেজ অস্টিন বইমেলা’ অনুষ্ঠিত

Recent Comments

    Sanjibon Sarker
    Editor in Chief/ President

     

    Weekly Sandhan Inc.
    Address: 70-52 Broadway 1A, Jackson Heights, NY 11372.
    Contact: +1 646 897 9262
    Email: weeklysandhan@gmail.com,
    www.sandhan24.com

    Bimal Sarkar
    Executive Editor
    Contact: +1 512-576-2944

    Quick Link

    • সম্পাদক
    • গ্যালারি

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    No Result
    View All Result
    • Home
    • Login

    © 2020, All Rights Reserved by সন্ধান - কালের দেয়ালে সাতদিন

    Welcome Back!

    Login to your account below

    Forgotten Password?

    Retrieve your password

    Please enter your username or email address to reset your password.

    Log In
    This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.
    Go to mobile version