টুইটারের সঙ্গে কোনো চুক্তি রাখতে চান না ইলন মাস্ক। তাইতো মাইক্রোব্লগিং সাইটটির বিরুদ্ধে উলটো মামলা ঠুকতে বাধ্য হলেন টেসলা প্রধান।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ারের একটি আদালতে এ মামলা করেন তিনি। এর আগে ১২ জুলাই টুইটার ক্রয় স্থগিত করলে ইলনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের এপ্রিলে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক।
তবে স্প্যাম ও ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি-এ অভিযোগ তুলে জুলাইয়ে চুক্তি থেকে সরে আসেন তিনি।
এর পরই মূলত স্পেসএক্সের প্রধান ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করে টুইটার। যার বিচার আগামী অক্টোবর থেকে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। তবে আরও সময় চেয়েছিলেন তিনি।
টুইটার কেনা নিয়ে টেসলা প্রধান ইলন মাস্কের নাম নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছে জল্পনা। নয়া সংযোজন মাস্কের এ মামলা। বলা যায় বাধ্য হয়েই টুইটারের বিরুদ্ধে পালটা আইনি পথে হাঁটলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। অবশ্য, টুইটার করপোরেশনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি গোপনভাবে করেছেন তিনি।
মাস্কের করা ১৬৪ পাতার এই অভিযোগের নথি জনসমক্ষে আনা হয়নি। কিন্তু কোর্টের নিয়ম অনুসারে, একটি সংশোধিত সংস্করণ শিগগিরই প্রকাশ করা হতে পারে।
মাস্কের আইনজীবী জানান, টুইটারকে তাদের প্ল্যাটফর্মে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন তারা। মাস্কের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ টুইটার।
টুইটার বোর্ডের পক্ষ থেকে ব্রেট টেলর জানান, দীর্ঘ বৈঠকের মধ্য দিয়ে মাস্কের প্রস্তাবের মূল্যায়ন করা হচ্ছিল। মূল্য, আর্থিক এবং নিশ্চিয়তার দিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল।
এখন ইলনের টুইটার কেনার চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি বোর্ড। মামলাও হয়েছে ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে। আমেরিকার ধনকুবের এবং ১৬ বছর পুরোনো সানফ্রান্সিসকোর সংস্থার মধ্যে দীর্ঘ আইনি লড়াই কোন পথে যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে কোনো পক্ষ টুইটার চুক্তি বাতিল করলে এক বিলিয়ন ডলার জরিমানার কথা উল্লেখ রয়েছে মাস্ক-টুইটার সমঝোতার শর্তে। সে অনুযায়ী মাস্ক যদি চুক্তি বাতিল করে তাহলে তাকে অবশ্যই এক বিলিয়ন ডলার জরিমানা দিয়ে আসতে হবে।