সন্ধান২৪.কম: আজ নিউইয়র্ক মেরিলট মারকিউস হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চরম অব্যবস্থাপনার নজির সৃষ্টি হলো।
ম্যানহাটনের হোটেলে সন্ধায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বজনীন সংবর্ধনার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন। মূল আয়োজক ছিল নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ। কিন্ত নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বত্রই ছিল চরম অপেশাদারিত্ব ও অনভিজ্ঞতার ছাপ। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই এমন বিশৃঙ্খলার জন্ম হয়েছে বলে,উপস্থিত সিংহভাগ নেতা-কর্মীরা তাদের মত প্রকাশ করেন। তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে প্রচার সম্পাদক ও সাংসদ আব্দুস ছোবহান গোলাপ মাইকে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ এই সংবর্ধনার আয়োজন করেছে, বলে ঘোষনা দিলেও, মঞ্চের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে কোন দলের নাম ছিল না।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের আসন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ছিল চরম অবহেলা। মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের দাঁড়ানোরও কোন জায়গা ছিল না। বারবার মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকরা তাদের অভিযোগ ও সমস্যার কথা বললে আয়োজকরা ‘ব্যবস্থা হচেছ’, ‘দিচ্ছি’, ‘দেখি কি করা যায়’ এমন দায়সাড়া গোছের কথা বলে সময় ক্ষেপন করেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয় মঞ্চের সামনে ডানদিকের তিনটি সারি মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের জন্য আসন সংরক্ষিত ছিল। কিন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আগেভাগে সেই চেয়ারগুলো দখল করে বসেন।
সামনে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে সাংবাদিকরা পিছনে বসতে বাধ্য হয়, কিন্ত এমন স্থানে বসে অনুষ্ঠান কাভার করার সম্ভব ছিল না। অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাকেও পিছনে বসতে দেখা গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার ছাপ ফুটে উঠেছে।

নাগরিক সংবর্ধনাং উপস্থিত সুধীজন
গণমাধ্যমের জন্য এমন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে আয়োজকদের একজনের সাথে কথা বললে তিনি কৌতুক করে বলেন, তারা নিজেদের অতিথিদের আসনের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বসার বিষয়টিতে নজর দিতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে এমন বিশৃঙ্খলা ও অগোছালো হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের একজন বলেন, আমরা বিশাল একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এর আগে আমরা এমন অনুষ্ঠান করিনি। তাই সবকিছু গুছিয়ে করা সম্ভব হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা শেষে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে বলেন, এবারের সার্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা থেকে যে বিরূপ অভিজ্ঞতা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্র্মীরা ফিরে যাচ্ছে আগামীতে তারা যদি সংবর্ধনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।

নাগরিক সংবর্ধনাং উপস্থিত সুধীজন
আয়োজক কমিটির নেতা কর্মীরা নিজেদের আসন পাকা করতে এবং মঞ্চে কে কি ভ‚মিকা রাখবে সে বিষয়ে ব্যস্থ থাকায় কোথাও কাজের সমন্বয় ছিল না। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে আসা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী, সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের প্রথমসারির নেতারা অব্যবস্থপনায় দারুন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
অনেকেই ক্ষোভের সাথে বলেন,এমন চিত্র আগে দেখা যায়নি। অদক্ষ ব্যক্তিরা আয়োজক কমিটিতে জায়গা পাওয়াতেই এমন ঘটছে বলে মনে করেন অনেকেই।
উল্লেখ্য,এর আগে প্রতিবার যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনার আয়োজন করে। এবার প্রথম নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ নাগরিক সংবধর্নার আয়োজন করে।