সাহিত্য একাডেমীর মাসিক আসর বঙ্গবন্ধু ও শহীদ কাদরী স্মরণে

সন্ধান২৪.কম: সাহিত্য একাডেমী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি এবং কবি শহীদ কাদরীকে স্মরণ করে এবারের মাসিক সাহিত্য আসরের আয়োজন করে

জ্যাকসন হাইটসের গোল্ডেন এজ পার্টি হলে গত ২৫ আগষ্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাহিত্য একাডেমি, নিউইয়র্ক’র নিয়মিত মাসিক সাহিত্য আসর। পুরো আসরটি পরিচালনায় ছিলেন একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার, এবং ১৫ আগষ্ট নিহত সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এবারের আসর দু’টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে আলোচনা ও স্বরচিত পাঠের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বটি উৎসর্গ করা হয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি, এবং সাহিত্য একাডেমির একমাত্র উপদেষ্টা কবি শহীদ কাদরীকে।


বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালি, কবি কাজী আতীক, কবি ফকির ইলিয়াস, লেখক হুমায়ুন কবীর ঢালী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,জাতির পিতার হত্যাকান্ড ছিল একটি নৃশংস হত্যাকান্ড। দু:খ লাগে কেউ কেউ বাংলাদেশে বাস করে এই হত্যাকান্ডের পক্ষে কথা বলে, জাতির জনক বলতে লজ্জা লাগে। এটি বাঙালি জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। এদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। এদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পর্বে স্বরচিত পাঠ করেন, স্বপন বিশ্বাস, বেনজির শিকদার, পলি শাহীনা।


কবি শহীদ কাদরী দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন, লেখক হাসান ফেরদৌস, কবি তমিজ উদদীন লোদী, শহীদ কাদরী পতœী নীরা কাদরী, লেখক আদনান সৈয়দ,লেখক রাণু ফেরদৌস, আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, শাহ জে চৌধুরী, জাকির হোসেন মিয়া প্রমুখ।
হাসান ফেরদৌস বলেন, কবি শহীদ কাদরী একজন মানুষ নয়, দু’জন মানুষ। কবিও তিনি একজন নয়, দু’জন। দেশে থাকা কালীন শহীদ কাদরী এবং এই শহরের শহীদ কাদরীর তফাৎটা যোজন যোজন।
শহীদ কাদরী পতœী নীরা কাদরী বলেন, শহীদ তার সমসাময়িক সকলের প্রতি যেমনি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করত, তেমনি এই আসরে উপস্থিত সকলের সঙ্গে কথা বলার সময়ও তার শ্রদ্ধাবোধ দেখেছি। নতুন কিছু সৃষ্টির চিন্তা থেকে তার অনেক কম লেখা হয়েছে । তার একটি কবিতা থেকে অন্যটি আলাদা ।


লেখক আদনান সৈয়দ বলেন, কবি শহীদ কাদরী আমাদের খুব কাছের মানুষ। এখানে যাঁরা আছেন প্রায় সকলের সঙ্গে তাঁর স্মৃতি রয়ে গেছে। তাঁর কবিতা, বোহেমিয়ান জীবন নিয়ে এখনো অনেক গবেষণার দাবি রাখে। শিল্প, সাহিত্যের প্রতি তাঁর বিশেষ একটা দর্শন ছিল।
লেখক রাণু ফেরদৌস বলেন, ছোটবেলায় কবিতার চেয়ে গদ্য সাহিত্য বেশি পড়তাম। শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ে কবিতা পড়ার প্রতি আমার আগ্রহ জন্মেছে।
দ্বিতীয় পর্বে আবৃত্তি করেন, পারভীন সুলতানা, আনোয়ারুল হক লাভলু, জেবুন্নেসা জ্যোৎস্না। স্বরচিত পাঠ করেন, সুরীত বড়ুয়া, ফারহানা ইলিয়াস তুলি, রিমি রুম্মান, ফারহানা হোসেন, মিয়া আসকির প্রমুখ।
আসরে উপস্থিত ছিলেন, আবেদীন কাদের, আহমাদ মাযহার, রাহাত কাজী শিউলি, শামস আল মমীন, এনামুল করিম দিপু, সুমন শামসুদ্দিন, আকবর হায়দার কিরণ, আক্তার আহমেদ রাশা, নাসির শিকদার, খালেদ সরফুদ্দীন, মারীষ্টেলা শ্যামলী আহমেদ, মিশুক সেলিম, আলম সিদ্দিকী, রুপা খানম, স্বপ্ন কুমার, সীমু আফরোজা, ফরহাদ হোসেন, রেদোয়ান জুয়েল, মিজান, তৌফিক আল মান্নান, জয়া করিম, আমান উদদৈলা, মো: আজিজুল হক, মো: শাহ আলম, আম্বিয়া অন্তরা, মার্জিয়া আহমেদ প্রমুখ।

Exit mobile version