নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে বাংলাদেশি ইয়াসমীন

সন্ধান২৪.কমঃ মূলধারার বাংলাদেশি মডেল মাহমুদ ইয়াসমীন বছরের শুরুতে প্রথম শীতকালীন আয়োজনে ‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক’এ অংশ নিচ্ছেন ।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী ম্যানহাটানে সপ্তাহব্যাপী এই ‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক’ শুরু হচ্ছে।

বাংলাদেশি মডেল মাহমুদ ইয়াসমীন

নিউইয়র্কের জিাইনর নুসরাত জাহান-এর ‘এনজে বুটিক’ এই আয়োজনে বাংলা সংস্কৃতির পোষাক নিয়ে অংশ নিচ্ছে । বাংলাদেশি ডিজাইনার নুসরাত জাহানের পোশাক পরে মডেল মাহমুদা ইয়াসমিনের প্রদর্শনী রেম্পে হবে শেষ দিন ১৫ ফেব্রুয়ারী। গত রোববার নিউইয়র্কের উডসাইডে একটি কমিউনিটি হলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আয়োজন প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারলিঙ্ক নেট’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-‘নিইউয়র্ক ফ্যাশন উইক’-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘এনওযাইসি লাইফ ফ্যাশন উইক’ এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও
মাইকেল রিড, নিউইয়র্কের ‘এনজে বুটিক’র ডিজাইনার নুসরাত জাহান, কোরিওগ্রাফার নজরুল কবীর এবং মূলধারার বাংলাদেশি মডেল মাহমুদ ইয়াসমীন।
মডেল মাহমুদা ইয়াসমীন বলেন, এর আগে অনেকবার আমি নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে রেম্পে হেঁটেছি। সব সময় বিদেশি ডিজাইনারদের সাথে কাজ করেছি। সেখানো কোনো বাংলাদেশি মডেলকেও আমি কখনও দেখিনি। এবার নিজের দেশের একজন নারী ডিজাইনারের শাড়ি পড়ে আমি নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকে হাঁটবো, এটা ভাবতেই খুব গর্ব হচ্ছে। মনে হচ্ছে, এই প্রথম সত্যিকার অর্থে আমি বিশ্ব আসরে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি।


‘নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক এনওয়াইসি লাইল’-এর উইলিয়াম মাইকেল রিড বলেন, “আমি এই প্রথম বাংলাদেশি কমিউনিটির কোনো অনুষ্ঠানে এসেছি। এর আগে মডেল মাহমুদা ইয়াসমীনের সাথে কাজ করেছি। কিন্তু বাংলাদেশি কোনো ডিজাইনারের সাথে কাজ করা এই প্রথম। তিনি আরও বলেন, “এন জি বুটিকের নুসরাত জাহান এর কাজ ও কোরিওগ্রাফার নজরুল কবীরের পরিকল্পনা আমার ভাল লেগেছে। আমি আশা করছি ১৫ ফেব্রুয়ারি নিউইয়ক ফ্যাশন উইকের শেষ দিনটিতে তাঁদের দারণ কিছু হবে।
ডিজাইনার নুসরাত জাহান বলেন, মাত্র ২০দিন খুবই অল্প সময়ের নোটিশে আমরা এই অফারটি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এত কম সময়ে নুতন ধারণার ডিজাইন করে, বাংলাদেশে কারিগরের কাছে পাঠিয়ে নকশা, হাতের কাজ, পেইন্ট ইত্যাদি করিয়ে শেষ করে আনানো খুবই কঠিন। তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমার চেষ্টা থাকবে নিউইয়ক ফ্যাশন উইকে বাংলাদেশকে ধারণ করে ডিজাইন করা। বাংলাদেশের তাঁতশিল্প, মসলিন, জামদানিকে বিশ্ব আসরে তুলে ধরার প্রত্যয়ের কথা জানান প্রবাসী এই ডিজাইনার।
কোরিওগ্রাফর নজরুল কবীর বলেন, ১৫ থেকে ১৬ জন বিদেশি মডেল এবার একজন বাংলাদেশি ডিজাইনারের পোশাক পরে হাঁটবেন। কোরিওগ্রাফি করতে যে পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছি তা হল বাংলাদেশের কয়েকটি জাতিও দিবসের বর্ণনার সাথে সেই রং ও ডিজাইনের পোশাক পরবেন আমেরিকান মূল ধারার মডেলরা এবং হাঁটার সময় আবহ সঙ্গীত হিসেবে বাংলাদেশের সেই বিষয়ক গান ও মিউজিক বাজবে।
তাছাড়া আমেরিকার মূলধারার বাংলাদশি মডেল ইয়াসমনি এই প্রথম নিজ দেশের কোনো ফ্যাশন হাউজের ব্যানারে শাড়ি পরে রানওয়েতে হাঁটবেন, এটাও খুব আনন্দের বিষয়। আশা করছি, মূলধারার ফ্যাশন শোতে আমরা বংলাদেশের পোশাক ও ঐতিকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থান করতে পারবো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় চারটি ফ্যাশন আসর হচেছ প্যারিস, লন্ডন, মিলান ও নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে দুটি আসরবসে নিউইয়র্কে। এবার শীতকালীন নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইক শুরু হচ্ছে ৯ ফেব্রুয়ারি। আর এতে বাংলাদেশি ডিজাইনারের পোশাক প্রদর্শনী হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।

Exit mobile version