ব্লাড ক্যান্সারে খাদ্যতালিকায় যা থাকা জরুরি

সন্ধান২৪.কম ডেস্ক : চিকিৎসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন একজন রোগীর অবশ্যই সুষম খাদ্য প্রয়োজন। শারীরিক ব্যায়াম ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা শরীর সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে।

একটি সুষম খাদ্য, উচ্চ শক্তি ও প্রোটিন যে কারণে প্রয়োজন—

চিকিৎসার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে ।  চিকিৎসার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করতে

সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শারীরিক ক্ষমতা উন্নত করতে।  চিকিৎসার পর দ্রুত সুস্থ হতে

দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে।  অন্যান্য অসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে।

ভিন্ন ভিন্ন খাবারের উপকারিতাও ভিন্ন ভিন্ন রকম। তাই একজন রোগী যেসব খাবার গ্রহণ করছে, সেখানে খাদ্যের সব উপাদান আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডায়েটে যে ধরনের খাবার রাখা যায় তা নিম্নে দেয়া হলো

কার্বোহাইড্রেট: গমের পাস্তা, বাদামি চাল, গমের রুটি ও আলু এসব খাবারে কার্বোহাইড্রেট থাকে। খাবারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কার্বোহাইড্রেট হওয়া উচিত।

প্রোটিন:–মটরশুঁটি, মটর, মসুর ডাল, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, ডিম ও নিরামিষ জাতীয় খাবার। খাবারের মধ্যে প্রোটিন যাতে থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

ফল ও শাকসবজি: ভিটামিন, খনিজ পদার্থে ভরপুর ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস। সাধারণ সস, স্যান্ডউইচ বা রেডিমেড খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত শাকসবজি খাওয়া বাড়াতে হবে। পুরো ফল খাওয়া উচিত (জুস ও স্মুদির পরিবর্তে), কারণ এতে ত্বক এবং সজ্জায় পুষ্টি ও ফাইবার রয়েছে।

দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, পনির ও দই সবই এ-জাতীয় খাবারের মধ্যে পড়ে। কারণ এতে ক্যালসিয়াম থাকে।

 ফাইবারযুক্ত খাবার: দৈনন্দিন খাদ্যের অংশ হিসেবে বাদাম, বীজ, মটরশুঁটি ও ডাল রাখা দরকার।

চর্বিজাতীয় খাবার: সবজির তেল, বাদাম ও তৈলাক্ত মাছের মতো অসম্পৃক্ত চর্বি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

হাইড্রেটেড থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। দিনে ছয় থেকে আট কাপ বা গ্লাস তরল পান করার লক্ষ রাখা উচিত।

সূত্র: ব্লাড ক্যান্সার ইউকে

 

Exit mobile version