যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংকের শাখা বন্ধ হচ্ছে ১৬ আগস্ট

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সরকার ও সোনালী ব্যাংকের মালিকানায় সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেড নামে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে। নানা অভিযোগে এটি আগামী ১৬ আগস্ট থেকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এটি সোনালী ব্যাংকের যুক্তরাজ্য শাখা নামে পরিচিত। যুক্তরাজ্যে এর দুটি শাখা রয়েছে। এর আগেও সোনালী ব্যাংকের মালিকানায় একটি এক্সচেঞ্জ হাউজ দুর্নীতির অভিযোগে বন্ধ করে দিয়েছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। এ বিষয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে গত ২৭ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০০০ সালে সোনালী ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যোগাযোগ করেও এটি চালু রাখা সম্ভব হয়নি। তখন দুই দেশের সরকারের যোগাযোগের কারণে নতুন করে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত হয়। এর আলোকে ওই সময়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডে এ বিষয়ে আবেদন করলে তারা দ্রুত এর লাইসেন্স দিয়ে দেয়। ফলে ২০০১ সালে এটি চালু হয়। পরে এর দুটি শাখা খোলা হয়। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সংগ্রহ ও দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে করা বিভিন্ন এলসির গ্যারান্টি বা এডভাইস দেওয়ার কাজ হতো।

এতে দেশের মোটা অঙ্কের এলসি কমিশন বাবদ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হতো। ওই শাখায় বেশির ভাগ বাংলাদেশি কাজ করত বলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠাতে স্বস্তি বোধ করতেন। এর মালিকানায় ছিল সরকার ও সোনালী ব্যাংক। সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মালিকানা ছিল ৫১ শতাংশ এবং সোনালী ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ।

এদিকে সোনালী ব্যাংকটি চালু রাখতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সরকার। সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। আগের অভিজ্ঞতার কারণে এর বিকল্প হিসাবে যুক্তরাজ্যে দুটি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এগুলো এখন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রয়েছে।

Exit mobile version