সন্ধান রিপোর্টঃ নিউইয়র্ক শহরের জ্যামাইকার একটি বাড়িতে গত রবিবার এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তিনজনের মৃত্যু এবং আরো চারজন আহত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডের কারণ জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
এই ঘটনায় বাড়ির মালিক মিসবাহ মাহমুদও গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি ব্রঙ্কসের জ্যাকোবী হাসপাতাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, আহত মিসবাহ মাহমুদ হাসপাতালের আইনিউইতে আছেন। এই ঘটনায় দমকল বাহিনীর এক সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরো চারজন। যার মধ্যে দুজন বাংলাদেশি।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, বাংলাদেশি-আমেরিকান মিসবাহ মাহমুদের বাড়িতে অন্য কমিউনিটির মানুষ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। এই ঘটনায় কমিউনিটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি এবং মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আহত মিসবাহ মাহমুদ বাংলাদেশি-আমেরিকান এডভোকেসী গ্রুপ (বাগ)-এর বোর্ড সদস্য।
পুলিশ জানায়, ইস্টার সানডের শুরুতেই স্থানীয় কেমব্রিজ রোড এবং হেনলি রোডের মাঝামাঝি ৮৭-২৫ শেভি চেজ স্ট্রিটে রাত ১:৩০ টার কিছু পরে আগুন লেগে যায়।
অগ্নিকান্ডের সাথে সাথে ৯১১-এ খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃত তিন পুরুষের বয়স ৪৫, ৫২ ও ৬৭ বছর। তাদের নাম পরচিয় প্রকাশ করা হয়নি। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে জ্যামাইকা হসপিটাল সেন্টারে এবং অপর একজনকে কুইন্স হসপিটাল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলছেন, বাড়িটিতে ধারণ ক্ষমতার চাইতে বেশি লোক থাকতেন। অনেকে ছিলেন ব্যাচেলর। এফডিএনওয়াই জানায় “রান্নাঘরের মাঝখানে একটি প্রাচীর ছিল, যা খুব অস্বাভাবিক। এবং দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী অ্যাক্সেস রয়েছ, যা আগুনকে আরও দ্রæত উপরে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। বাড়িওয়ালা সহ প্রায় ১০-১৫ জন লোক সেখানে বাস করেন।”
বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বসবাসকারী এক ব্যক্তি অ্যাডহাম আম্মার এক সাংবাদিক বলেছিলেন যে আগুনের ঘটনা ঘটলে তিনি ম্যানহাটনে বন্ধুদের সাথে ছিলেন। আম্মার বলেছেন যে, তিনি সাত বছর ধরে বাড়িতে থাকেন এবং বাড়িওয়ালাসহ প্রায় ১০-১৫ জন লোকও সেখানে থাকেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন পৌঁছায়, তখন প্রথম তলার জানালা দিয়ে আগুন বের হচ্ছিল এবং আগুন দ্রুত দ্বিতীয় তলা এবং অ্যাটিকে ছড়িয়ে পড়ে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সকাল তিনটার পরেই আগুনটি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। এফডিএনওয়াই জানিয়েছে যে ১০০ টিরও বেশি দমকলকর্মী এবং ইএমএসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করেছেন। কর্তৃপক্ষগুলি আগুনের কারণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে।
নগরীর ডিওবি অনুসারে, পরিদর্শকগণকে দেখেছেন যে ভবনের বেসমেন্টটি অবৈধভাবে একটি অ্যাপার্টমেন্ট ইউনিটে রূপান্তরিত হয়েছে। তার জন্য ২০১০ সালের মে মাসে বাড়ির মালিকদের একটি আইন লঙ্ঘন নোটিশ জারি করা হয়েছিল।