সাধারণত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বাচ্চার মধ্যেই এই সমস্যা থাকে। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ভালো হয়ে যায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। শিশু চঞ্চল হলে কোনও সমস্যা হয় না। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় যোগ হলে তবেই তা ভাবনার বিষয়। শিশুর এধরনের সমস্যাকে বলা হয় অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার।
এই শিশুদের মস্তিষ্ক স্থির থাকে না। কোনও একটা জায়গায় কয়েক মিনিটের বেশি তারা টিকতে পারেনা । এরা চোখের সামনেই এমন সব কাণ্ড ঘটিয়ে বসে যে বাবা-মায়েদের পক্ষে এদের সামাল দেওয়া বেজায় মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে যারা তাদের শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের জন্য স্কয়ার হসপিটালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফারহানা দেওয়ান কিছু পরামর্শ দিয়েছেন । চলুন জেনে নেই:
- ছোট বাচ্চাদের নানা রকমের ক্রিয়াকলাপে জড়িয়ে রাখুন, যাতে তাদের এই চঞ্চলতাকে সঠিক পথে সঞ্চালিত করা যায়। যেমন ধরুন, নাচ, গান, বাস্কেটবল, ক্রিকেট বা সাঁতারের ক্লাসে ভর্তি করে দিন বাচ্চাকে।
- নিউরোবিক্স বা মেন্টাল অ্যারোবিক্সও মস্তিষ্ককে উৎসাহিত করে, সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। নানা রকমের বোর্ড গেমস, ধাঁধা সমাধান করানোর মতো খেলাও শেখাতে পারেন বাচ্চাকে। তাতে তারা কিছু সময়ের জন্য হলেও শান্ত থাকবে।
- বাচ্চার চঞ্চল মন শান্ত করতে হাল্কা, মেডিটেটিভ অথবা ক্লাসিকাল সঙ্গীত শোনাতে পারেন। এই ধরনের সঙ্গীত মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। তবে ভুলেও বাচ্চাকে হার্ড রক মিউজিক শোনাবেন না যেন! এতে বিপরীত প্রভাব পড়বে বাচ্চার উপর।
- টিভি, ভিডিও গেম, মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিন। কার্টুন ও ভিডিও গেমসে তীব্র শব্দ এবং গাঢ় রঙ ব্যবহার করা হয়, যা বাচ্চার আচরণকে প্রভাবিত করে এবং তাদের ভুল পথে চালিত করে। তাই গ্যাজেটের ব্যবহার সীমিত করুন। এর ফলে বাচ্চার মন শান্ত থাকবে।