সন্ধান২৪.কমঃ আলোচনা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান চিন্তক ও মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে পালন করেছে নিউইয়র্কের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করা প্রগতিশীল মানুষেরা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় এই স্মরণ সমাবেশ থেকে
অভিজিৎ হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তিও দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও অভিজিৎ রায়সহ বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল মুক্তমনা লেখক ও চিন্তকগণের হত্যার পুনঃতদন্ত ও হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়।
আলোচনার আগে অভিজিৎ রায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও আলোক প্রজ্বালন করা হয়।
সংগঠনটির সংগঠক গোপাল স্যানালের আহ্বানে প্রদীপ প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উত্তর আমেরিকার প্রতিনিধি মিথুন আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাংবাদিক সনজীবন কুমার, শাহ্ ফাউন্ডেশনের শাহ জে. চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বিকৃতি বড়ুয়া,সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ আহমেদ শাম্মু,সাংবাদিক পিনাকী তালুকদার,কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ,সুতিপা চৌধুরী প্রমুখ।
সুব্রত বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের একশ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী ধর্মান্ধতার দোহাই দিয়ে বাংলার প্রাণের মেলা বই মেলায় চাপাতির আঘাতে শুধু অভিজিৎ রায়কেই আঘাত করেনি, আঘাত করেছে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়।
মিথুন আহমেদ বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতির আঘাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ক্ষণজন্মা শিক্ষক হুমায়ুন আজাদ, মৃত্যুঞ্জয়ী লেখক গবেষক অভিজিৎ রায়, ব্লগার রাজীব, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, বিজ্ঞানবিষয়ক নবীন লেখক অনন্ত বিজয় দাশসহ টার্গেট কিলিং ছিল রাজনৈতিক ছকের অংশ।
সনজীবন কুমার বলেন, অভিজিৎ রায় একটি বিজ্ঞানমনস্ক, উদার ও যুক্তিবাদী সমাজ গঠনের লক্ষ্যে লেখালেখি করেছেন। এ কারণে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শুধু অভিজিৎ নন, আরও কয়েকজন যুক্তিবাদী লেখককে হত্যা করা হয়েছে।
গোপাল স্যানাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে ধ্বংস, অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে হত্যা, মুক্তবুদ্ধির দেশকে নিশ্চিহ্ন ও প্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্যই হত্যার হোলি খেলেছে ঘাতকেরা। এসব হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচন করতে সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি ঘাতকেরা উৎসাহ পেয়েছে।