নিউইয়র্কে ইউনূসের সমাবেশ : কৌশলের কাছে পরাজয় বিএনপি‘র

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি-সংগ্রহ।

সন্ধান২৪.কমঃ শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে ড. ইউনূসের সম্বর্ধনা অণুষ্ঠানে বিএনপি উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠানের সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ছিল জামায়েতে ইসলামী ঘরানা ও মুনার হাতে বলে জানা গেছে।

মিলনায়তনে বিএনপির অনেক বাঘা বাঘা নেতা ছাড়াও অনেক নেতা-কর্মী প্রবেশ করতে না পেরে ঘটনাস্থলে তারা প্রচুর হৈ-হট্টগোল প্রতিবাদ করেছে।

এ ছাড়া অনেক সাংবাদিকও সমাবেশ প্রবেশ করতে পারেন নাই।

‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান যারা ভেতরে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন তারা ক্যামেরা দূরের কথা, সেলফোণও সাথে নিতে পারেননি। ‘ঢাকা থেকে সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আসেনি’ অজুহাত দেখিয়ে অনেক প্রবাসীকে গেট থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধায় ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে (১৫৩৫ ব্রডওয়ে) এ অণুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা জামাত-শিবির,বিএনপি আর এনসিপি‘র নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও পুরো অনুষ্ঠান জামায়েতে ইসলামী ঘরানার নেতাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল বলে  বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

একটি ভিডিও-তে দেখা যায় মিলনায়তনের ভিতরে যেতে না পেরে জিল্লুর রহমান জিল্লু , কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজমসহ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানী নেতাকে প্রতিবাদ করছে।

সমাবেশে প্রবেশ করতে না পেরে  বিএনপির একজন নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলসহ নানা অনিয়মে ব্যস্ত।আর এখানে তারা কমিটির গঠনের ধান্দায় মগ্ন, তাই এসব দেখার সময় তাদের নাই। ফলে যা হবার তাই হলো, আজকের খেলায় জামায়েতে ইসলাম আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেল।

একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,‘বর্তমানে বিএনপি দেশে লুটপাট,চাঁদা আর ধান্দাবাজে ব্যস্ত। বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, প্রভাব খাটানো এমনকি দখলের মতো অভিযোগ উঠছে বিশেষত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি একেবারে নিচে নেমে গিয়েছিল। আপনাদের রেমিট্যান্সই তা বাঁচিয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার পেছনে আপনাদের রেমিট্যান্সই মূল চালিকা শক্তি।’

প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। তরুণদের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত তরুণ জনশক্তি রয়েছে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে কারখানা স্থানান্তর করে এ মানবসম্পদ কাজে লাগাতে এবং বাংলাদেশকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

 

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা এখন বাংলাদেশের অংশ। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিনিয়োগ ও ধারণা নিয়ে আসুন।’ তিনি আশ্বাস দেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনও বক্তব্য রাখেন।

 

Exit mobile version