যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভায় মির্জা আজম

সন্ধান২৪.কম: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা দুটি পৃথক পৃথক সভায় আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
গত ৮ জুলাই সন্ধ্যায় সংগঠনের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

কুইন্স প্যালেসে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। নিউইয়র্ক স্টেট এবং মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মির্জা আজমকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
মতবিনিময়কালে মির্জা আজম প্রবাসের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার উদাত্ত আহবানের পাশাপাশি দেশ বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতাকে আন্দোলন করে রুখে দেয়ার পরামর্শও প্রদান করেন।
মির্জা আজম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম জন্ম জয়ন্তিতে আমাদের শপথ নিতে হবে আওয়ামী লীগের জন্ম এবং বাঙালির মুক্তির জন্যে দীর্ঘ পথ-পরিক্রমা নতুন প্রজন্মকে অবহিত করার তাগিদ দিয়ে বলেন,প্রবাসের প্রজন্মের সমন্বয়েই আমেরিকার মত একটি দেশ আজ বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষমতাবান হিসেবে স্বীকৃত।

অপর দিকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে ৯ জুলাই সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে শেফ মহল পার্টি হলের সমাবেশে মির্জা আজম এমপি বলেন, খন্দকার মোশতাক এবং জিয়া গংদের ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরানো। সে লক্ষ্যে সামরিক জান্তা জিয়ার নির্দেশে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কারাগার ও আশপাশে শতশত মানুষকে ফাঁসি দেয়া হয়-যার প্রায় সকলেই ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উজ্জীবিত সামরিক অফিসার। মির্জা আজম বলেন, সেই জিয়ার সৃষ্টি বিএনপি এখন একই খেলায় মেতে উঠেছে।
সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিয়া। বিশেষ সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কম্যুনিকেশন্স ডাইরেক্টর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, মোহাম্মদ ফজলুল হক, ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি মো. গিয়াস উদ্দিন এবং বাকসুর সাবেক জিএস ড. প্রদীপ কর।
সমাবেশে ছিলেন বীর প্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) মঞ্জুর আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, হাবিব রহমান আকন্দ, আবুল বাশার চুন্নু, মোজাম্মেল হক, মাহমুদ হাসান, কামরুজ্জামান শিকদার, নুরুল ইসলাম, আব্দুস সাদেক, মো. হেলাল মজিদ, আব্দুল কাদের, মো. গুলজার হোসেন, মেসবাহউদ্দিন চৌধুরী, মো. নাজিমউদ্দিন, মো. এনামুল হক, আবুল বাশার ভূইয়া, মো. আব্দুর রহমান, ডেল্টা কোম্পানীর মোজাম্মেল হক, এম এ হাসান, আশরাফ চৌধুরী, এ কাদের, শামসুল আলম চৌধুরী, নাজমুল হক, জাহিদ হাসান, প্রাণগোপাল কুন্ড, নজরুল ইসলাম বাবুল, হাজী জাফরউল্লাহ, সাহাবউদ্দিন চৌধুরী লিটন, আরিফুল ইসলাম, এ টি এম মাসুদ, নুরুল আবসার,রিদোয়ান বারি ,কামাল হোসেন মিঠু প্রমুখ।
প্রসঙ্গত: পারিবারিক সফরে এসেছিলেন মির্জা আজম। ১০ জুলাই সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে জেএফকে ত্যাগের আগে এটি ছিল তার সর্বশেষ সমাবেশে ভাষণ। সবকটি সমাবেশেই তার স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া আজম এবং দুই কন্যা মির্জা আফিয়া আজম অপি এবং মির্জা আসফিয়া আজম অমিও ছিলেন।

 

 

Exit mobile version