সন্ধান২৪.কম: বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে আটক করার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে সনাতনীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ২৪ঘন্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায় ইউনাইটেড হিন্দুস অব ইউএসএ‘র আহŸানে অন্তত ৩০০ সনাতনী ধর্মাবলম্বী বিক্ষোভে অংশ নেন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশের মামলা প্রত্যাহার করে তাকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দেয়ার দাবী জানানো হয়। তা ছাড়া নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অস্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কের বাংলাদেশের কনস্যুলেট অফিস ঘেরাও করার ঘোষনা দেয়া হয়। এ ছাড়া সংগঠনটি আগামী শনিবার নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
ইউনাইটেড হিন্দুস অব ইউএসএ‘র সভাপতি ভজন সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রামদাশ ঘরামীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্যামল চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ সরকার, দ্বীজেন ভট্টাচার্য, রূপ কমল ভৌমিক ,ভবোতোষ মিত্র, দীনেশ মজুমদার, শিতাংসু গুহ, সুতিপা চৌধুরী , নিতাই পাল, কুমার ভৌমিক, সদানন্দ হালদার, পঙ্কজ তালুকদার, দীলিপ নাথ , সুশিল সিনহা, অনুকুল অধিকারী , নিতাই দাশ, পল্লব সরকার, দীপক পাল প্রমূখ।
শিবানন্দ প্রভুর গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের সূচনা করা হয়।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি বিশ্বে ক্ষুন্ন হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তারা অনতিবিলম্বে প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীকে জাতীয় স্বার্থে আশু মুক্তির দাবি জানান তারা।
বক্তার আরও বলেন,প্রয়োজনে জীবন দেব, তবুও উনাকে (চিন্ময়) মুক্ত করে ছাড়ব। চিন্ময়কে আটক কেন সেটা আমাদের জবাব দিতে হবে এবং অর্ন্তবতী সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে।
অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে সনাতনী সম্প্রদায়ের মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ।
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠে জনসভার পর ৩০ অক্টোবর রাতে তাকেসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়।