‘ছবি নিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ইসলাম ধর্মে নাকি বিদাত’ ? সোসাইটির শোক সভা নিয়ে প্রশ্ন মঈন চৌধুরীর

দিদারুলের স্মরণ সভায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

সন্ধান প্রতিবেদন:

৬ আগষ্ট সন্ধায় নিউইয়র্কে প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম স্মরণে বাংলাদেশ সোসাইটির শোক সভার আয়োজন করে। সেখানে দিদারুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন নিয়ে ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন নিউইয়র্কে আইন ব্যবসায়ী এটর্নী মঈন চৌধুরী। তার এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৫ জন কমেন্ট করেছেন, ৪ জন শেয়ার দিয়েছেন এবং লাইক করেছেন ৬২জন।

শহীদ মিনারে ফুল দিচ্ছেন মঈন চৌধুরী। ছবি :তার ফেসবুক থেকে নেয়া

মঈন চৌধুরী তার ফেসবুক পেজ-এ প্রশ্ন করেন ,‘ নিউইয়র্কে নিহত মুসলিম পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম এর ছবি নিয়ে মোমবাতি প্রজ্জলন ( প্রজ্জ্বলন ) ইসলাম ধর্মে নাকি বিদাত???’

এরপর তিনি আবার মন্তব্যে ঘরে লেখেন,  ‘গতকাল নিহত ডিটেকটিভ দিদারের জন্য দোয়ার আয়োজনে জেকসন হাইটস্ অনেকের মন্তব্য শুনলাম। আমি অবশ্য দোয়ার পরেই চলে আসতে হয়েছে। দিদারের বাবা ও পরিবার মোমবাতি জালানোর আগেই চলে গিয়েছেন। অনেকে আবার বলছে বিধর্মী হলে সমস্যা ছিল না ।?’

মঈন চৌধুরী এই মন্তব্যের উত্তরে তার পেজ-এ অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেই মতামতগুলো তুলে ধরা হলো:

Farhana Chowdhury -মইন ভাই আমি যতদুর শুনেছি, সোসাইটির অফিসে দোয়া অলরেডি হয়ে গেছে অনেক আগেই। গতকালকে হয়েছিল সবার জন‍্য। তাই প্রথমে মুসলিমরা দোয়া করেছে। তারপর যারা (হিন্দুদের জন‍্য) ফুল দিতে চেয়েছে তারা ফুল দিয়েছে আর যারা (খ্রিস্টান) মমবাতী জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছে তারা মমবাতী জ্বালিয়ে দোয়া পরেছে। এখানে তো সোসাইটি সবার জন‍্য (দল মত ধর্ম)উনমুক্ত ছিল। ভাই সবকিছুতেই সমালোচনা করা উচিত না। যে যার মত তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা প্রদর্শন করতেই সেখানে গিয়েছিল।

Bappi ShomeMoin Choudhury একদম ঠিক কথা মিয়া ভাই, এইজন্য মুসলিম পুলিশের মৃত্যুতে শুধুমাত্র মুসলিমদেরই শোক পালন করা উচিত, কেন যে সবাই এটা বোঝেনা

Tanbir Siddiqui– লাখ লাখ আমেরিকান এটা করেছেন বা করবেন। এটা তাদের প্রর্থনার একটা উপায়। উনাকে তো গালি দিচ্ছেন না! মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় রীতিতে দোয়া করবেন। মোমবাতি নিয়ে টানাটানি না করে দেশে অন‍্যায়, অবিচার, জুলুম নিয়ে কথা বলুক পারলে। শহীদ মিনারে বিভিন্ন কারনে নিয়মিতই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। তখন তো কেউ কিছু বলে না! মরহুম দিদারুল ইসলাম সাহেব কি শুধু মুসলমানদের সেবা দিতেন! উনার বেতন ভাতা এসবই তো খ্রীষ্টান দেশই দিয়েছে তাই না!

Mustaq Ahmed-মুসলিমদের শুধু হাত তুলে দোয়া করলে হয বাকি সব আমাদের ধর্ম নাই

Gulam Ahmed Mithu-নিউইয়র্ক cosmopolitan , আর পুলিশ অফিসার ছিলেন বিশ্ব মানবতার জন্য, তাই এখানে যার যার মত করে সম্মান জানাবে এটাই বিদিত? যারা ওভাবে ভাবছে তারা পাপ করে বসে আছে?

Dilip Saha– ৯৩% ধ’মের (ধর্মের) দেশে ও বাহিরে ১০০% দূ’নীতি। টেক্স ফাইলে ফাঁকি, অপখাদ‍্যে ষ্টোরে চাকরি, মদের দোকানের , সিগারেটর টেক্স, সিনেমা হলের, স’ট (শর্ট) পোশাক পরিহিত ব্যক্তি, নাইট ক্লাবের টেক্সের টাকা নেবার জন্য হাত পেতে থাকেন। সুতরাং মোমবাতি জ্বালানো কি ঠিক। মোটেই না।

Juned Khan-বাংলাদেশের সংস্কৃতি হলো

নিজের পখ‍্যে গেলে আরাম

নিজের বিপক্ষে গেলে হারাম

দেশে বিদেশে এই সমস্ত সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সব সময়ই ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে সস্তা জনপ্রিয়তা আদায়ের অপচেষ্টার মাধ্যমে সমাজের সাধারন মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করে থাকে ।

Rukon Hakim-১০০% বিদাত, কিন্ত দেখলাম আমাদের কিছু আলেমের দোয়া মাধ্যমে অনুষ্টাটি শুরু হয়।

Jahirul Islam– নিশ্চই হারাম কাজ।

Ahmad Ullah– ·  % বিদাত ভাই Moin Choudhury।

Sham B.-এসব ভন্ডামী।অমুসলিমরা যখন মাথায় scarf পড়ে জানাজায় অংশ নেয় তখন ভালো। আর ওরা যখন মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানায় তখন হারাম  বিচিত্র আপনাদের আচরণ।

Akbar Mohammad-হারাম।

এ ব্যাপারে এই প্রতিনিধিকে তিনজন  ফোন করে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম বলেন,ইসলাম ধর্মে বলে,কোন প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া হামার ও বিদাত। তা হলে মঈন চৌধুরী মরহুম দিদারুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে কি বিদাত কাজ করলেন? ইসলাম বিরোধী কাজ করলেন ?

‘ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ মিনারেও তো ফুল দেয়া হারাম। শহীদ মিনারে তো মঈন চৌধুরী ফুল দিচ্ছেন। তা ছাড়াও বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী ধুম-ধারাক্কা ও আপত্তিকর অনুষ্ঠানে তিনি যাচ্ছেন,মঞ্চে উঠছেন,পুরস্কার দিচ্ছেন-নিচ্ছেন । সে সময় তার ধর্মের কথা মনে থাকে না ?’ এমন প্রশ্ন করেন একজন শিক্ষক ।

কমিউনিটির একজন সমাজকর্মী বলেন, আসলে মঈন চৌধুরী ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসায় ফায়দা নেয়ার ধান্দায় এমন ইস্যু তুলেছেন,যাতে করে ধর্মপ্রাণ ক্লায়েন্ট তার কাছে আইনের আশ্রয় নিতে আসেন।

Exit mobile version