সন্ধান২৪.কম: নিউইযর্কে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফরমিং আর্টস (বিপা) কুইন্সের উডহ্যাভেন-এর ফরেস্ট পার্কের উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করেছিল বাংলাদেশি লোক উৎসব।
২১ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা প্রায় ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত মঞ্চে নানান ধারার নৃত্য-গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়।
শতাধিক শিল্পীর অংশ গ্রহনে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি ছাড়াও নানান ভাষাভাষী ও সংস্কৃতির ধারক নানান দেশের মানুষ এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আমন্ত্রিত কণ্ঠশিল্পী ছিলেন আরজিন কামাল।
গ্রাম বাঙলার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং গ্রামীণ অর্থনীতি,গ্রামীণ সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জীবনধারা অনুষ্ঠানে প্রতিফলিত হয়। এতে বাংলাদেশের আদিবাসী সংস্কৃতিরও প্রতিনিধিত্ব ছিল। উৎসবে দেশীয় খাবারদাবার ও দেশীয় ফ্যাশন-ডিজাইন হাউস অ্যাঞ্জেল বুটিকসের স্টলও ছিল।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ ও গভীর দুঃখভরা কণ্ঠে বিপার তিন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সেলিমা আশরাফ, অ্যানি ফেরদৌস এবং নিলোফার জাহান বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন। তারা দেশকে এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করার জন্য দেশ-বিদেশের সকল বাংলাদেশিদের কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের দুই উপস্থাপক মৃদুল আহমদ ও শারমিন নিহার নিরু অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় তুলে ধরছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকজ ঐতিহ্যের কথা। তারা প্রসঙ্গক্রমে একাত্তরের পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর আলবদর-রাজাকারদের ইতিহাসও তুলে ধরছিলেন। একই সাথে তারা সম্প্রতি দেশে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আলবদর-রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন জামাতের নেতৃত্বে পরিচালিত তান্ডবের কথাও তুলে ধরেন এবং বলেন, বাংলাদেশ থেকে একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের বিতারিত করতে না পারলে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-ভাষা অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারা আশা ব্যক্ত করেন, একাত্তরের মতো এবারও বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠবে এাং এদেরকে চিরতরে নির্মূল করবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের চেতনা, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় সংবিধান, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশে আজ হুমকির মুখোমুখী। এমন এক অসহনীয় পরিবেশে আমাদের এই আয়োজন-আয়োজকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হয়।