সন্ধান২৪.কমঃ ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এক আলোচনা সভায় আয়োজন করে।
এই দিন নিউইয়র্ক সিটির নবান্ন পার্টি হলে আয়োজক দলের সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অপর সদস্য গিয়াস আহমেদ।
আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, তদানিন্তন মেজর জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। মেজর জেনারেল (একাত্তরের সেই মেজর) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাকশালের পতন ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তন ঘটানো হয় পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মধ্যদিয়ে। আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, এখোন যারা নির্বাচন বানচাল করবার চক্রান্ত করছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
সমাবেশে গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন যখন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। এরপর ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর সিপাহি জনতা হাতে হাত রেখে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দি দশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন। তিনি বাকশালের একনায়কতন্ত্র থেকে ’৭১ এর চেতনায় বহুদলীয় গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। আবার দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন।

অন্যান্য বক্তরা বলেন, বিপ্লব ও সংহতি দিবসেই বাংলাদেশ নামক ভ’খন্ডটির পুনর্জন্ম ঘটেছে। এরপর আবারো আওয়ামী দু:শাসনের কবল মুক্ত করতে দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রেখেছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বক্তারা আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ এবং তারেক রহমানের সমন্বয়ে আমেরিকা প্রবাসীগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছেন, তার মূল্যায়ন হবে বলে আমরা আশা করছি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। তাঁরা শ্রদ্ধা জানান পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ সকল সৈনিককেও।