বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে বিক্ষোভ

সন্ধান২৪.কম ঃ  বাংলাদেশ রাষ্ট্র কর্তৃক সংখ্যালঘু হিন্দুদের ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গামুর্তি ও মন্দির ভাঙ্গা, চিন্ময় প্রভুর মুক্তি,লালমনিরহাটের নরসুন্দর পরেশ শীল পরিবারের উপর মিথ্যা ধর্মীয় অনুভুতি অভিযোগে নির্যাতন, কুমিল্লার মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নারীকে ধর্ষণ করার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে  মানববন্ধন 3 বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

২৮শে জুন শনিবার বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় সমাবেশের আয়োজন করে হিন্দু লাইভস মেটার ইন বাংলাদেশ। মানববন্ধন 3 বিক্ষোভ সমাবেশে সনাতন সম্প্রদায়ের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কলামিষ্ট ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা শিতাংসু গুহর সভাপতিত্বে সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সমাবেশের অন্যতম আয়োজক দীনেশ চন্দ্র মজুমদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক গোপাল স্যানাল এবং ইউনাইটেড হিন্দুস অব ইউএসএ‘র সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামী।

শুরুতে পবিত্র  গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন বল্লভ ভদ্র । বক্তব্য রাখেন কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, সুবল দেবনাথ, সুতপা চৌধুরী,  স্বীকৃতি বড়ুয়া, বিকাশ মজুমদার, পিংকি চৌধুরী, জয় তুর্য চৌধুরী, নিতাই পাল, স্বস্তিকা বিশ্বাস প্রমূখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বর্তমান সরকার প্রধান  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবী জানিয়ে বলেন, ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে, রেল লাইনের কাছে, সরকারি বুলডোজার ব্যবহার করে একটি মন্দির ভেঙে ফেলেছে। আমাদের সকলকেই এমন একটি নৃশংস দৃশ্য দেখতে হয়েছে। এটি আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা ধ্বংসাত্মক এবং হিংসাত্মক ধর্মীয় উন্মত্ততার এই ধরনের কাজের নিন্দা জানাই।  দুর্ভাগ্যবশত, এই সরকার এই ধরনের নিন্দনীয় কাজ করছে, এবং আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি না। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনাগুলিকে গুজব বলে চিহ্নিত করে এবং এগুলিকে উপেক্ষা করে আসছে।

লালমনির হাটের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বক্তরা বলেন, (পরেশ চন্দ্র শীল ও তার ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীল) যেভাবে মবের শিকার হয়েছেন, যেভাবে (তাদের) অপমান, অপদস্থ করা হয়েছে, তাতে দেশে আইন, বিচার আছে বলে মনে হয় না। আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
“আমরা যতদূর জানি, তারা ধর্ম অবমাননা করেননি। চুলকাটায় ১০ টাকা কম না নেয়ায় ধর্ম অবমাননার কথা বলে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আর ওসি সাহেব ওই হামলাকারীদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তো আগেই বলে দিয়েছেন, এমন মামলা হবে যে, যাবজ্জীবন বা ফাঁসি হবে। তিনি তো মবেরই অংশ হলেন,” বলেন বক্তরা।

কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের নিন্দার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।

সমাবেশ থেকে একজন নারীকে ধর্ষণ ও এরপর নির্যাতন করে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানানো হয়। পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীর নিরাপত্তাবিধানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের মনোসামাজিক সহযোগিতা ও পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার, প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানায়। একই সঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, অভিযুক্ত ব্যক্তিসহ নির্যাতনকারী ও ভিডিও ধারণ ও তা প্রচারে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

 

 

Exit mobile version