
সন্ধান২৪.কম: বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা এখন দেশ পরিচালনা করছে তাদের সব কিছুই অবৈধ। তাই সাংবিধানিক ভাবে ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দেশ চালানোর কোন অধিকার নাই। ভবিষ্যতে এদের বিচারের কাঠগড়ায় তোলা হবে।
দেশকে সাংবিধানিক বৈধতা পেতে হলে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর থেকে আইন অনুযায়ী আবার শুরু করতে হবে।
নিউইয়র্কে ‘জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন’র সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্যারিষ্টার নিঝুম মজুমদার এই বক্তব্য দেন।
তিনি তার বক্তব্যে ফ্যাসিবাদী ইউনূস সরকারের পতন ঘটাতে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করার আহ্ববান জানান।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে জ্যাকসন হাইটসে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের অন্যতম সদস্য ড.প্রদীপ রঞ্জন কর।
এ সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন এডভোকেট শাহ বখতিয়ার এবং মঞ্চে উপবেশন ও কথা বলেছেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও মূলধারার রাজনীতিক ড. রবি আলম।
নিঝুম মজুমদার বলেন. বাংলাদেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রের অভয়ারণ্যে পরিণত করার খেলায় নেমেছে গতবছর জুলাই-আগস্টের কথিত অভ্যুত্থানের খল নায়করা । তারা দেশকে অকার্যকর করার নীল নকশা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে।
১৯৭৩ সালের আইসিটি অ্যাক্ট’ পরিবর্তন করে শেখ হাসিনাসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিতদের বিচারের নামে ফাঁসিতে ঝুলানোর ষড়যন্ত্রের যে নাটক বাংলাদেশে মঞ্চস্থ হচ্ছে সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অবহিত করতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান নিঝুম মজুমদার।
তিনি এ সময় বলেছেন, আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করার কথা। কিন্তু এখোন যা করা হচ্ছে তা বিচারের নামে প্রহসন এবং এধরনের অপকর্মকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনে রুখে দেয়া হবে। কারণ, ইউনূসের জঙ্গি সরকারের আইসিটি অ্যাক্ট’র কোন অনুমোদন নেই বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে। নিঝুম মজুমদার বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক’র নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট কথিত অভ্যুত্থানের ওপর যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে সেটি মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের একটি অংশ এবং সেজন্যেই আমরা সরেজমিনে দায়িত্ব পালনকারি শতশত কর্মকর্তার বক্তব্য জেনে সে আলোকে ২ শতাধিক পৃষ্টার একটি রিপোর্ট তৈরী করেছি। এটি জেনিভা, ব্রাসেলস, লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এর কপি বিতরণ করা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন কংগ্রেসসহ আন্তর্জাতিক সংস্থায়। ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদার আরো জানান যে, মুহাম্মদ ইউনূসের এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে জনমত সোচ্চার করতে সম্ভবত: এটাই প্রথম একটি আয়োজন। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩’ আইনের অপব্যবহার করে বর্তমান সরকার দেশে দু:শাসন প্রতিষ্ঠিত করছে। তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ড. প্রদীপ কর তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন-১৯৭৩ হচ্ছে একটি বিশেষায়িত আইন, যা ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বর্তমানের বেআইনীভাবে অধিষ্ঠিত কোর্টের প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাম্প্রতিক সময়ে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন যা এই বিশেষ আইনটির প্রকৃত পরিধি ও সাংবিধানিক সীমারেখাকে অগ্রাহ্য করছে। জামাতে ইসলামের এই নেতা তাজুল জাতিকে এমন একটি বিভ্রান্তকর ধারণা দিচ্ছেন যে, বর্তমান সময়ের যে কোন হত্যাকান্ড বা সহিংস ঘটনাকে ‘সিস্টেম্যাটিক এটাক’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় বিচার সম্ভব। আর এমন ব্ক্তব্য দেয়া হচ্ছে নিজেদের মতলব চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে।
সোজা কথা বলা যায়, আইসিটি অ্যাক্ট-১৯৭৩ সালকে সংশোধন/পরিবর্তনের এখতিয়ার কেবলমাত্র জাতীয় সংসদের। ড. প্রদীপ কর বলেন, সেই বিধি বিকৃত করে শেখ হাসিসনাসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দমনের ষড়যন্ত্র চলছে বাংলাদেশে। এতে প্রতিহত করতে যত দ্রুত সম্ভব ইউনূসকে হটাতে হবে।